 |
| উমরান মালিকের পাশে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া |
বোলিং রান আপে হেঁটে যাওয়ার সময় কী ভাবছিলেন উমরান মালিক (Umran Malik)?ভাবছিলেন কি, এই একটা ওভারে তাঁকে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হবে?হয়তো ভাবছিলেন। হয়তো ভাবছিলেন না।
প্রথম বলে রান দেননি। দ্বিতীয়টা 'নো'। ফ্রি হিট আর তারপরের বলে দু-দুটো চার। শেষ তিন বলে দরকার ৮।
উমরানের চোখের সামনে কি তখন ভেসে উঠছিল মহম্মদ শামির (Mohammad Shami) মুখটা?
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত তুলেছিল ১৫১ (Ind vs Pka WC T-20)। জবাবে শুরু থেকেই মারকুটে মেজাজে ছিলেন দুই ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম (Babar Azam)। ৩ ওভারে ২২ রান দেওয়া শামিকে ১৮ তম ওভার করতে ডাকেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। পাকিস্তানের জয়ের জন্য তখন দরকার ১৭ রান।  |
| মহম্মদ শামির পাশে অধিনায়ক বিরাট কোহলি |
২৮ জুন, ২০২২। ডাবলিন। উমরান মালিককে যখন শেষ ওভার বল করতে ডাকেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandiya), কী আশ্চর্য, তখন আয়ারল্যান্ডেরও দরকার ছিল ১৭ রান। ২৪ অক্টোবর, ২০২১। দুবাই। ৬-৪-৪-১-২, শামির প্রথম পাঁচ বলেই ১৭ রান তুলে নিয়ে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান।
তারপর? সোশ্যাল মিডিয়ায় শামির মুণ্ডপাত।
'কত খেয়েছিস?'
'বিক্রি হতে চাস তো খেলিস কেন?'
'পাকিস্তানের হয়ে খেলবি তো ভারতের জার্সি পরিস কেন?'
'ভারতীয় দলে বেজন্মা পাকিস্তানি।'
'যা, পাকিস্তানে চলে যা।'
শামির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভরে গিয়েছিল এরকম বাছা বাছা সব মন্তব্যে।
শামি যে মুসলিম। |
| সোশ্যাল মিডিয়ায় টার্গেট মহম্মদ শামি |
সচিন, সেওয়াগ, হরভজন-সহ অনেকেই শামির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর এখন বিজেপি সাংসদ (BJP MP Gautam Gambhir)। তিনি টুইট করলেন, 'পাকিস্তান জেতায় যারা পটকা ফাটাচ্ছে তারা ভারতীয় হতে পারে না।'
(কাশ্মীরে কয়েকজন পটকা ফাটিয়েছিল। বাংলাদেশে দুই পাকিস্তানি সমর্থককে পেটায় ভারতীয় সমর্থকরা। পঞ্জাবের একটি কলেজে পড়তে আসা কাশ্মীরী ছাত্রদের উপর হামলা হয়। কয়েকজন হকি স্টিক নিয়ে ঢুকে লাইট বন্ধ করে ওদের পেটায়। ল্যাপটপ ভেঙে দেয়)।  |
| শামির পাশে সেওয়াগ |
 |
| সোশ্যাল মিডিয়ায় শামি আক্রান্ত। 'পাশে' গম্ভীর। |
ভারতীয় ক্রিকেটে সাড়া জাগানো স্পিডস্টার উমরান মালিকও (Indian Speedstar UMRAN MALIK) তো জম্মু কাশ্মীরের ছেলে। কাশ্মীর। যেখানে সেনা সাধারণ ছেলেদেরও খুন করে জঙ্গী বলে চালিয়ে দেয়। কেউ কোথাও সে কথা বললেই তাঁর গায়ে 'দেশদ্রোহী' তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। আবার কখনও দেশপ্রেমের বন্যা বইয়ে দিতে সেনাকে রাজনীতির বোরে হিসেবে ব্যবহার করা হয়।  |
| সেনাবাহিনীর হিউম্যান শিল্ড ফারুক আহমেদ দার |
শ্রীনগরের ফারুক আহমেদ দারের কথা মনে আছে? ৯ এপ্রিল, ২০১৭ তিনি গিয়েছিলেন উপনির্বাচনে ভোট দিতে। মেজর লিতুল গগৈ তাঁকে জিপের সামনে বেঁধে পাথর বৃষ্টির মধ্যে 'হিউম্যান শিল্ড' বানিয়ে অনেকের বাহবা কুড়োন। পরে পুলিশ জানায়, দার কোনও গোলমালের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ইটবৃষ্টিতেও উস্কানি দেননি। সেনাবাহিনী সেই মেজরকে পুরস্কৃত করে। তবু উমরানরা ভারতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন। নিজেদের ভারতীয়ই ভাবেন। ভারতকেই তাঁদের দেশ ভাবেন।
এ যাত্রা উমরানকে কোনও হেনস্থার মুখে পড়তে হয়নি। উল্টে শেষ ৩ বলে মাত্র ৩ রান দিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়ে তিনিই হয়ে যান হিরো। চারপাশের যা অবস্থা তাতে ভয় হয়, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলেও গদ্দার বানিয়ে দেওয়া হতে পারত উমরানকে। যেমন যখন-তখন বানানো হয় উমরানদের। |
| ইরফান পাঠান |
শামির পাশে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইরফান পাঠান টুইট করেন, 'আমিও মাঠে ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধের অংশ ছিলাম। আমরা হারলেও কখনও পাকিস্তানে চলে যেতে বলা হয়নি! আমি কয়েক বছর আগের কথা বলছি। এই ঘৃণা বন্ধ করা দরকার।' কে করবে বন্ধ? ইরফান কয়েক বছর আগের কথা বলেছেন যখন 'হারলেও কখনও পাকিস্তানে চলে যেতে বলা হয়নি'। কয়েক বছর পরে, এখন?  |
| শামির পাশে ইরফান |
উদয়পুরের নৃশংসতার নিন্দা করেছিলেন ইরফান পাঠান। তাতে নৃশংস ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে। প্রতি পদে বোঝানোর চেষ্টা, তুমি ভারতীয় নও, তুমি মুসলিম। অপরাধী অপরাধ করেনি। অপরাধ করেছে মুসলিম। ইরফান, তুমিও যে মুসলিম।  |
| উদয়পুর নৃশংসতার নিন্দা করে ট্রোলড। তবুও শান্তিতেই ভরসা ইরফানের |
শামি-ইরফানদের বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়ে যেতে হয়। যেমন দেশের যে কোনও মুসলিমকে দিতে হয়। আগেও হত। এখন আরও বেশি করে দিতে হচ্ছে। জাতীয় সংগীতের সময় পারভেজ রসুল চুইংগাম চিবানোয় কী হইচই! জাতীয় পতাকা না ওড়ালে, জাতীয় সংগীতে গলা না মেলালে, কিসের দেশপ্রেমী?
(প্রথম কবে নিজেদের দফতরে জাতীয় পতাকা তুলেছিল নরেন্দ্র মোদীদের আরএসএস? স্বাধীনতার পর তো তারা তেরঙাকে জাতীয় পতাকা মানতেই রাজি ছিল না। এই তো সেদিন কর্নাটকের শিবমোগা গভর্নমেন্ট কলেজে জাতীয় পতাকা তোলার স্তম্ভে গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয়। তখনই প্রবীণ বিজেপি নেতা, কর্নাটকের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা বললেন, 'এখন আমরা তেরঙা তুলছি। ভবিষ্যতে হিন্দু রাষ্ট্র হলে আমরা লালকেল্লায় গেরুয়া পতাকা তুলব।')  |
| পারভেজ রসুল |
পারভেজই প্রথম জম্মু-কাশ্মীর থেকে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থা চালাতে তিন সদস্যের সাব কমিটি করে দেয় বিসিসিআই। তার সদস্য, বিজেপি-র মুখপাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার অনিল গুপ্ত ই-মেল করেন, পারভেজ পিচ রোলার চুরি করেছেন। ফেরত না দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। অনেক ঝুট ঝামেলা করে সামলাতে হয় ভারতীয় দলের সদস্য পারভেজকে।উমরানের বাবা জম্মুতে ফল বিক্রি করে সংসার চালান। মহম্মদ সিরাজের বাবা হায়দরাবাদে অটো চালাতেন। তাঁর মৃত্যুর সময় সিরাজ ছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। বিসিসিআই তাঁকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল। মা বারণ করেছিলেন। বলেছিলেন, বাবার স্বপ্ন পূরণ করে ফিরবে। বাবা ছেলেকে বলতেন, 'সব সময় দেশের মুখ উজ্জ্বল করবি।' অধিনায়ক বিরাট কোহলি কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, 'মিয়াঁ, মন শক্ত কর। তোর বাবা চাইতেন তুই ভারতের হয়ে মাঠে নাম। সেটাই কর। চাপ নিস না।’ |
| মহম্মদ সিরাজের পাশে বিরাট কোহলি |
সিরাজ দেশে ফেরেননি। পরের ম্যাচে নেন ৫ উইকেট। সিরিজে ১৩ উইকেট। বাবার মৃত্যুশোক সামলে মাঠে জান কবুল করেছে সচিন, বিরাট। এবং সিরাজও। ওঁরা সবাই ভারতীয়। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার, সেরা অধিনায়কদের অন্যতম মহম্মদ আজহারউদ্দিনকেও বারবার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। তিনি মুসলিম তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মন দিয়ে খেলেন না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রান করা ভারতীয়দের মধ্যে আজহার তিনে। ক্যাপ্টেন আদহার প্রথম পাঁচের একজন। তবু তাঁকে শুনতে হয়েছে। শুনে যেতে হয়েছে। কারণ মহম্মদ আজহারউদ্দিন তো মুসলিম।  |
| আজহার ও সৌরভ |
 |
| ১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেরা কিপার সৈয়দ কিরমানি |
১৯৮৩ সালের ২৫ জুন কপিলদেবের হাতে বিশ্বকাপ। ভাবিনি উইকেটের পিছনে নিরাপদ হাত দুটো ছিল এক মুসলমানের। সৈয়দ কিরমানি। আমি ভাবিনি। আমরা অনেকে ভাবিনি। এখন মনে হয়, সেদিনও অনেকে ভেবেছিল। তার অনেক আগেও ভেবেছিল। |
| সেই চুমু ও আব্বাস আলি বেগ |
আব্বাস আলি বেগের কথা মনে আছে? মাঠে এক তরুণী ঢুকে চুমু খেলেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম নজির আব্বাসের। ১৯৫৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মুম্বই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বিরতির সময় প্যাভিলিয়নে ফিরছিলেন আব্বাস। তখনই সেই কাণ্ড। বিদেশের মাঠে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ডও তাঁর। পরপর দুটো সিরিজে ভালো খেলার পাকিস্তান সফরে ব্যর্থ হতেই 'দেশদ্রোহী'। ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি ২১ বছরের ছেলেটা। মাত্র ১০ টেস্ট খেলেই শেষ হয়ে যায় সম্ভাবনাময় আব্বাসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার (প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩৫ ম্যাচে ১২৩৬৭ রান)।  |
| মনসুর আলি খান পতৌদি |
মনসুর আলি খান পতৌদি। দুর্ঘটনায় এক চোখ হারানোর ৬ মাসের মধ্যে টেস্ট অভিষেক। ৬ ম্যাচ পরেই অধিনায়ক। ১৯৬৮ সালে তাঁর নেতৃত্বেই বিদেশের মাটিতে প্রথম বার টেস্ট ও সিরিজ জয়।ওঁরা সবাই ক্রিকেট মাঠের যুদ্ধে নিজেদের ভারতীয় সেনাই ভেবেছেন। ওঁদেরই অনেকে এখন কাঠগড়ায়। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশের পক্ষে কাজ করেছে আরএসএস। তাদের হাতেই এখন দেশের রাশ। তারাই এখন দেশপ্রেমী বেছে দিচ্ছে। তাতে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে হয়ে যাচ্ছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। এমনকী জীবিত প্রধানমন্ত্রীর নামেও স্টেডিয়াম হচ্ছে আহমেদাবাদে। তিনি তো স্বয়ংসেবক, তিনি তো সন্ন্যাসী। তিনি তো পারিবারিক শাসন ভাঙতে নেমেছেন। নিজেদের জীবদ্দশায় নেহরু-ইন্দিরা-রাজীবৃসোনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কা-মেনকা-বরুণরা যা করেননি, তিনি তা-ই করলেন। নিজের নামে স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেললেন। ইতিহাস খুঁজে দেখুন, এমন কাণ্ড আর কারা কারা করেছেন। মিল খুঁজে পাবেন।  |
| নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। আহমেদাবাদ |
সেই প্রধানমন্ত্রী পোশাক দেখেই বুঝে যাচ্ছেন কারা হিংসা করছে। দেশজুড়ে মুসলিম বিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে। রাষ্ট্রীয় মদতে বিদ্বেষের রাজনীতি চলছে খুল্লামখুল্লা। তার ছাপ ক্রিকেটে পড়বে না? ক্রিকেট তো ভারতের ধর্ম। যে কয়েকটা ক্ষেত্রে দুনিয়ায় আমাদের মাতব্বরি, তার একটা তো ক্রিকেট। তাই বিদ্বেষ গ্যালারিতে, টেলিভিশনের সামনে, ভক্তকূলের মধ্যে। ড্রেসিংরুমেও? বছর ছয় আগেও ভারতীয় দলে ছিলেন গৌতম গম্ভীর। শামি কাণ্ডের পর তাঁর টুইটটা আরেকবার পড়ুন।  |
| সোশ্যাল মিডিয়ায় সামি আক্রান্ত হওয়ার পর গৌতম গম্ভীবের টুইট |
'পাকিস্তান জেতায় যারা পটকা ফাটাচ্ছে তারা ভারতীয় হতে পারে না।'শামিকে হেনস্থা সম্পর্কে কোনও কথাই নেই। কিসের ইঙ্গিত?
গত ১১ জুন। কলকাতার যুবভারতীতে ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচ। সুনীল ছেত্রীর করা গোল মিনিট খানেকের মধ্যে শোধ হয়ে যেতেই স্টেডিয়াম চুপ। ৪ নম্বর গ্যালারির মিডল টায়ারে থাকা ৪-৫ জন শুধু আফগানিস্তানের পতাকা হাতে লাফাচ্ছেন। ওঁদের বাড়ি কাবুলে। থাকেন কলকাতায়। মুহূর্তে সেদিকে ছুটে গেল ৫০-৬০ জনের জটলা। পুলিশ অসহায়। ভারতের বেশ কিছু সমর্থক বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এরমধ্যেই ভারতের দ্বিতীয় গোল। সঙ্গে সঙ্গে আফগানদের গালে দেশপ্রেমী বীরপুঙ্গবদের চড়-থাপ্পড় পড়তে শুরু করল। আশপাশ থেকে আরও অনেক দেশদ্রোহী জনতা গিয়ে উগ্র জটলাকে সরিয়ে দেয়। হতভম্ব আফগান যুবকদের চোখে-মুখে ভয়। পুলিশ তাঁদের গ্যালারি থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। |
| যুবভারতীতে আক্রান্ত আফগান সমর্থকরা |
আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলে ভারতের মাথা নীচু হল। কালি পড়ল কলকাতার মুখে। সেটা বোঝার মতো বুদ্ধি ওইসব দেশপ্রেমিকদের নেই। ইউরো ২০২০ ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করায় ইংল্যান্ডের ৩ কালো ফুটবলার বর্ণবিদ্বেষী মন্রতব্যের টার্গেট হন। দেরি না করে নিন্দায় সরব হন ইংল্যান্ডের ম্যানেজার, পুরো টিম, দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং ইউরোপের ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা উয়েফা (UEFA)। নিন্দা করতে দেরি করেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আর এ দেশে?  |
| দিল্লি দাঙ্গা। আক্রান্ত মানবতা |
একটা দেশ সভ্যতার দিকে এগোবে নাকি অসভ্যতার দিকে, তার অনেকটাই নির্ভর করে দেশটা যাঁরা চালাচ্ছেন তাঁদের মনোভাবের উপর। মানুষের, বিশেষত কমবয়সীদের জীবনের সংকটগুলো ক্রমশ বাড়ছে। সেটা মেটানোর চেষ্টা না করে তাঁদের এই নোংরা খেলার নেশা ধরিয়ে দাও। নেশা তো কত কিছু ভুলিয়ে রাখে। ধর্মের সম্মান বাঁচানোর কথা বলতে গিয়ে দেশের সম্মানের বারোটা বাজানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। আর দেশের সম্মান গেলে দেশের মানুষের সম্মান যায়। তাতে কোনও ধর্মেরই সম্মান বাড়ে না। দেশের নেতারা এক গেটের বাসের কন্ডাক্টরদের মতো বলছেন, দাদা-দিদি পিছন দিকে এগিয়ে যান। এগিয়েচলুন হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার দিকে। এগিয়ে চলুন হিন্দু পাকিস্তান গড়ার দিকে। গ্যারান্টি দিচ্ছি, এই কথাগুলো বলার জন্য টেলিপ্রম্পটার লাগছে না।