আনন্দবাজার পত্রিকার মুখ্য চিত্র সাংবাদিক ছিলেন তপন দাস-দা। ফেসবুক টাইমলাইনে দুটো ছবি তোলার বিবরণ দিয়েছেন।
 |
জ্যোতিবাবুর এক প্রিয় ফটোগ্রাফার গনেশ সিংহ, যাঁকে শুধু নামেই চিনতেন না, ভীষণ ভালবাসতেন। সবার সামনে মস্করাও করতেন। বলতেন, গনেশ তোমার ক্যামেরাতে তুষারবাবু ফিল্ম দিয়েছেন কি? নাকি ফিল্ম ছাড়া তোমার ক্যামেরায় ছবি তুলেছ? তোমার ক্যামেরাতে আর ছবি উঠবে না। শহিদ মিনারে এক জনসভাতে আমার সামনে ঘটনাটা ঘটেছিল। প্রথম জীবনে একটা বিখ্যাত ইংরেজি কাগজে কাজ করার পর স্বাধীনতা কাগজে তখনকার সব বিখ্যাত ছবি তুলতেন। একজন প্রকৃত কম্যুনিস্ট ছিলেন। গনেশ সিংহের তোলা একটা ছবি, জ্যোতি বসু নিজে ক্যামেরা দিয়ে প্রিয় মলনাতনির ছবি তুলছেন দার্জিলিঙে। |
 |
সেই সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের জমানায় ৭২/৭৩ সালের ঘটনা। এসপ্লানেড ইষ্টে বড় জমায়েত ও আইন অমান্য বামফ্রন্টের। জ্যোতিবাবু আইন অমান্যে অংশগ্রহণ করবেন। সারা রাস্তা লোকে লোকারণ্য। পুলিসের বড় বড় কালো ভ্যান রাখা আছে। আমার জীবনের প্রথমদিকের কথা। আমি নিজে থেকেই ওখানে পৌঁছেছি। ছবি তুলব। আমার কোনও অ্যাসাইনমেন্ট নয়, অভিজ্ঞতার জন্য। আমার এক আত্মীয় পুলিশের ডিডি দপ্তরে ছিলেন তাকে জিজ্ঞেস করলাম আইন অমান্য করার পর জ্যোতি বসুকে কোন ভ্যানে তোলা হবে জানেন? বলতে পারলেন না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর শুরু হল আইন অমান্য। আমি দেখলাম অনেক পুলিশের বড় কর্তা একটা ভ্যানের সামনে। আমি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম। বলল, এই ভ্যানে করে যাবেন সত্যপ্রিয় রায় ও জ্যোতিবাবু। একেবারে সেঁটে গেলাম ঐ ভ্যানে। কিছুক্ষণের মধ্য ভিড় ধাক্কাধাক্কি শুরু। জ্যোতিবাবুর পিছনে সব ফটোগ্রাফাররা। জ্যোতিবাবুর সামনে আসার চেষ্টা প্রাণপন চেষ্টা করছেন আনন্দ বাজারের অলক মিত্র, পান্না সেন অমৃতবাজারের ও রমাদাস বসু বিশ্বমিত্র কাগজের, আরও অনেকে ছিলেন। নাম মনে করতে পারছি না। সে এক ভীষণ প্যাণ্ডোমোনিয়ম অবস্থা। আমার সামনে জ্যোতিবাবু ঐ ভ্যানের সামনে চালকের গেট ধরে বক্তব্য রাখবেন বলে। ড্রাইভারের কেবিনে উঠলেন দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার আগে যে ছবিটা তুলেছিলাম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। ছবি: তপন দাস। |
মানুষটা সম্পর্কে আমার অনেক আপত্তি আছে, অনেক অনুযোগ আছে, অনেক অভিমান আছে। কিন্তু তাঁকে বাদ দিলে নিজে আরও অপূর্ণ থেকে যাব। তাঁকে বাদ দিলে দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলন অপূর্ণ থেকে যাবে। তাঁকে বাদ দিলে দেশের দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক বৃত্তান্ত অপূর্ণ থেকে যাবে। তিনি দেশের রাজনৈতিক এক পর্বের নির্মাতা। তাঁকে বাদ দিলে অপূর্ণ থেকে যাবে বাংলার সমাজ ও রাজনৈতিক জীবন।
তিনি জ্যোতি বসু (Jyoti Basu)।
তাঁর জন্মদিনে রাজ্যের বাম আন্দোলনের উত্থান পতন সম্পর্কে আমার এলোমেলো মতামতগুলোই নিবেদন করছি।
দীর্ঘ এবং এলোমেলো লেখা। আমার উপলব্ধি। একটু ধৈর্য ধরে পড়ে মতামত দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_1.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_3.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_5.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_6.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_46.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_23.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_35.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_37.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_47.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_96.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_57.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_20.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_31.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_11.html
https://jachchetaii.blogspot.com/2022/05/blog-post_90.html