link text

Breaking Posts

6/trending/recent

Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

Arijit Singh, Dipika Chikhlia অরিজিৎ সিং, দীপিকা চিখলিয়া এবং ভাবের মূর্তি

বন্ধুদের সঙ্গে দীপিকা
অরিজিৎ সিং। বলিউডের সুপার সিঙ্গারদের একজন। কোটি কোটি টাকা আয়। প্রায় ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি। বছর দুই আগে মুম্বইতে একসঙ্গে চারটে ফ্ল্যাট কিনেছেন ৯ কোটি টাকা দিয়ে। সারা দুনিয়ায় নামডাক। ছেলেটা বাঙালি। বাড়ি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে।
অরিজিৎ আমাদের অনেকের কাছেই অবাক করা এক মানুষ। কেন? কারণ তিনি ছেলেকে বহরমপুরের সাধারণ স্কুলে ভর্তি করেছেন। ছেলেকে পৌঁছে দিতে গিয়ে আর পাঁচটা লোকের সঙ্গেই স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে থাকেন। চার আনার নেতা স্করপিও ছাড়া ঘোরেন না। কিন্তু অরিজিৎ জিয়াগঞ্জের রাস্তায় ঘুরে বেড়ান স্কুটি নিয়ে। চায়ের দোকানে আড্ডা দেন। স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দিতে গিয়ে ভিড় এড়াতে দৌড়ে বুথে ঢোকেন, বাউন্সারের কোনও বালাই নেই। ছোটবেলার স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি হয়ে যান।
(Some unknown facts about singer Arijit Singh)
সন্তানের স্কুলের গেটে অপেক্ষায় অরিজিৎ সিং
সেলিব্রিটিরা এসব করবেন কেন? তাঁরা তো স্বপ্নলোকের বাসিন্দা। সেলিব্রিটি মানে তো অ-সাধারণ, অতি মানবীয় (larger than life) একটা ব্যাপার, যাঁদের ঘিরে কল্পনায় আমরা নিজেদের অসম্পূর্ণ সাধগুলো পূরণ করি, যাঁদের আঁকড়ে ধরে বিপদ থেকে পরিত্রাণের কথা ভাবি। তাঁরা কেন সাধারণের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকবেন
অরিজিৎ ব্যতিক্রম। অনায়াসে সেলিব্রিটির ভাবমূর্তি সরিয়ে রেখে সাধারণ হয়ে থাকতে পারেন। অনেকে চান না। অনেকে চাইলেও পারেন না।  যেমন ধরুন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni in Kolkata)। শ্বশুরবাড়ির শহরে এসে পছন্দের দোকানে বিরিয়ানি, চা, লস্যি খেতে চাইলে যেতে হয় মাঝরাতে। কেউ চিনে ফেললেই কেলেঙ্কারি! আমরা সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জায়গাটাও ছাড়তে নারাজ। তাঁদের নিয়ে নানা টক ঝাল মিষ্টি সত্যি মিথ্যে গল্প গপগপিয়ে গিলি। সে সব খবর ছবি জোগাড়ে সাংবাদিকতার বিশেষ ধরণও জন্মে গিয়েছে, পাপারাৎসি।
ছেলেবেলার স্কুলের গভর্নিং বডি়র সভাপতি অরিজিৎ
কালো শর্ট স্কার্ট। সাদা শার্ট। টাই।  সাদা স্নিকার্স। হাতে ওয়াইনের গ্লাস। নিচে লেখা, রবিবার স্কুলে যাচ্ছি। বান্ধবীদের সঙ্গে ছবিটা পোস্ট করেছিলেন ২২ মে। বান্ধবীদের ড্রেসও একই রকম। বোঝাই যাচ্ছে কোনও থিম পার্টির ছবি। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল ট্রোলিং। পোস্টটা যে দীপিকা চিখলিয়ার। অনেকের কাছেই তো তিনি সাক্ষাৎ 'সীতা'। 
(What Dipika Chikhlia, Ramayan's Sita said after she trolled for sharing a pics in school uniform?)
দীপিকা চিখলিয়ার সেই স্কুল গার্ল পোস্ট
২৫ জানুয়ারি, ১৯৮৭ থেকে ৩১ জুলাই, ১৯৮৮ প্রতি রবিবার সকাল সাড়ে ন'টায় দূরদর্শনে সম্প্রচারিত হত রামানন্দ সাগরের ৭৮ পর্বের টেলি সিরিয়াল 'রামায়ণ'। প্রথম লকডাউনের সময় আবার 'রামায়ণ' দেখানো হয় দূরদর্শনে। দুরদর্শন জানিয়েছিল, দুনিয়ার সব রেকর্ড ভেঙেচুরে দিয়ে ১৬ এপ্রিল সিরিয়ালটি দেখেন ৭.৭ কোটি মানুষ। পরে যদিও জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সিরিজ M*A*S*H (Goodbye, Farewell and Amen)-এর চূড়ান্ত পর্ব দেখেছিলেন প্রায় ১০.৬ কোটি মানুষ। 
(Is re telecast of RAMAYANA made World Record of the Most Viewed Entertainment Program?)  
সেই 'রামায়ণ' সিরিয়ালে 'রাম' ছিলেন অরুণ গোভিল আর 'সীতা' দীপিকা চিখলিয়া।স্কুলছাত্রীর পোশাকে দীপিকাকে দেখে নানা মন্তব্য, 'এটা আপনার কোন অবতার?’, ‘সরি, দেখে একদম ভালো লাগল না’, ‘মা, এটা আপনার হাতে কোন ধরনের পানীয়?’, 'আপনাকে আমরা দেবীর স্থান দিয়েছি৷ আপনার এই ধরণের পোশাক পরা উচিত হয়নি’, 'ব্যক্তিগত জীবনে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন তা ব্যক্তিগত রাখাই ভালো।'
সেলিব্রিটিরা এসব করবেন কেন? তাঁরা তো স্বপ্নলোকের বাসিন্দা। সেলিব্রিটি মানে তো অ-সাধারণ, অতি মানবীয় (larger than life) একটা ব্যাপার, যাঁদের ঘিরে কল্পনায় আমরা নিজেদের অসম্পূর্ণ সাধগুলো পূরণ করি, যাঁদের আঁকড়ে ধরে বিপদ থেকে পরিত্রাণের কথা ভাবি। তাঁরা কেন সাধারণের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকবেন।
'রামায়ন' সিরিয়ালে 'রাম' অরুণ গোভিল, 'সীতা' দীপিকা চিখলিয়া
গত বছরও ওয়ান পিস স্কার্ট পরা ছবি পোস্ট করে ট্রোলড হন দীপিকা। সেবার পোস্ট তোলেননি। কিন্তু ৫৮ পেরোনো অভিনেত্রী এবারের পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। বলেছেন, এরকম প্রতিক্রিয়া হবে জানলে তিনি ছবিটি পোস্ট করতেন না। ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত করে তিনি ব্যথিত। 
দীপিকার পুরোনো পোস্ট
'আমি জানি, মানুষ আমাকে দীপিকা নয়, সীতা হিসেবে দেখতে চান। ওই ভাবমূর্তি ভেঙে নিজেকে একজন রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছি না।'
কথার শেষ অংশটায় সেলিব্রিটি মনের যন্ত্রণার কথাই যেন ফেটে বেরোল। কিন্তু উপায় নেই। ওই ভাবমূর্তি থেকে বেরোনো যাবে না।
লক্ষ্ণন, রাবণ, ভরত বা রামায়ণের অন্য কোনও চরিত্র কিংবা মহাভারতের কোনও চরিত্রকে এতটা অসুবিধায় পড়তে হয় না। দেশের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে রাম মহাকাব্যের চরিত্র নন, তিনি দেবতা। তাঁর স্ত্রী 'সীতা মাতা'। দীপিকা তাই চাইলেও ওই ভাবমূর্তি থেকে বেরোতে পারবেন না।
১৯৯১ লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী দীপিকা
লালকৃষ্ণ আদবানী ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে
রাজীব গান্ধীর সঙ্গে দীপিকা চিখলিয়া
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দীপিকা
ভাবমূর্তি। যুক্তি নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে শুধু মানুষের সরল বিশ্বাস, ভাবাবেগ। এই ভাবমূর্তি নানা ভাবে তৈরি হয়। যেমন সিরিয়াল দেখতে দেখতে দীপিকা হয়ে গিয়েছেন 'সীতা মাতা'। আবার মানুষের সরল বিশ্বাসকে ব্যবহার করে ভাবমূর্তি তৈরিও করা হয়। সেটা সেটা কোনও ব্যক্তি, পণ্য বা পরিস্থিতি সম্পর্কে হতে পারে। বিজ্ঞাপন কী করে? আজকের সময়ের মিডিয়া কী করে? কোনও পণ্য বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি তৈরি করায়। সে কাজের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। সেরা মাথাওয়ালা লোক ব্যবহার করা হয়। ভাবমূর্তি একটা ধারণা তৈরি করবে। সেটাই সব কিছুকে নিয়ন্ত্রন করবে। 
মুকুল রায় ও কুণাল ঘোষের সঙ্গে মমতা
আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) কথা ধরা যাক। তিনি গরীব পরিবার থেকে উঠে আসা, অনাড়ম্বর জীবনযাপনে অভ্যস্ত, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন 'অগ্নিকন্যা', 'সততার প্রতীক' এরকম একটা ভাবমূর্তি আছে। 
যিনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা জাল করেছেন, তাঁকে কী ভাবে সৎ বলা যায়? 
কালীঘাটের বাড়িতে শোবার ঘরেও এসি। তবে পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকত। বাড়ির অন্য সব ঘরেও এসি। তাঁর শাড়ি, হাওয়াই চটি, মোবাইল, ঘড়ির দাম কী রকম? (Singur Movement, Mamata's Hunger Strikeসিঙ্গুর পর্বে তাঁর অনশনের সময় ধর্মতলার পর্দা ঢাকা মঞ্চে কী কী হত, সে রকম নানা টুকরো টুকরো ঘটনার বিবরণ আছে এক সময় তৃণমূল বিধায়ক, প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের লেখা বইয়ে। ওই বইয়ে প্রকাশিত কোনও তথ্যের বিরুদ্ধেই কিন্তু কোনও মানহানির মামলা হয়নি।
মমতা ব্যানার্জির সিঙ্গুর-অনশন
নব্বই দশকের শেষ দিকে কেশপুরে শয়ে শয়ে সিপিএম কর্মী ঘড়ছাড়া হয়েছিলেন তৃণমূলের হামলায়। তাঁদের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেশপুর। আনন্দবাজার লিখেছিল কেশপুরে তৃণমূলের নেতৃত্বে 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ' চলছে। একটা ছবি ছাপা হয়েছিল, এক মহিলা দেশি পাইপগান তুলে দিচ্ছেন এক পুরুষের হাতে। দুজনের মুখই ঢাকা। বোঝানোর চেষ্টা, বাড়ির মহিলারা পুরুষদের লড়াইয়ে পাঠাচ্ছেন। ছবির ওই মহিলা কে ছিলেন? আনন্দবাজারেরই এক সাংবাদিক।   
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার
তৃণমূল সরকারের রাজত্বে সর্বস্তরে দুর্নীতি তো বুঝিয়ে দিচ্ছে নেত্রী কতটা সৎ! তিনি সৎ হলে দলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে নীচ তলা পর্যন্ত অসত্দের একচেটিয়া দাপট সম্ভব?
এভাবেই ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়। এখনও অনেকে বিশ্বাস করেন, দলের অন্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত হলেও মমতা নিজে সৎ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতির অসংখ্য চরিত্র দেখেছে। দুর্নীতি কোনও কালেই এ রাজ্যের রাজনীতিতে তেমন দাঁত ফোটাতে পারেনি। সেখানে মমতাকে কেন 'সততার প্রতীক' স্টিকার সেঁটে ঘুরতে হল? তাঁর আগে পশ্চিমবঙ্গের আরও কোনও নেতানেত্রীর ভাবমূর্তি তো এভাবে তৈরি করতে হয়নি। 
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharjee) এমন একটা ভাবমূর্তি তৈরি চেষ্টা হয়েছিল যেখানে তিনি তাঁর পূর্বসুরীদের থেকে আলাদা, তাঁর পার্টির বোঝাপড়া থেকে আলাদা। তৈরি করা হয়েছিল 'ব্র্যান্ড বুদ্ধ'। এমন একটা ভাবমূর্তি তৈরি চেষ্টা হয়েছিল যে বুদ্ধবাবুর আগে কেউ এ রাজ্যে শিল্পায়নের চেষ্টাই করেননি। তিনি মরা গাঙে জোয়ার আনতে চেয়েছিলেন।
নরেন্দ্র মোদী
কথাটা আরও অনেক বেশি সত্যি নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ক্ষেত্রে। এক সময়ের 'চাওয়ালা' এখন ভারতের 'মহাশক্তিমান মসিহা', এরকম ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে পরিকল্পনা করে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে, মাথা খাটিয়ে।
বারাক ওবামার সঙ্গে ১০ লাখি স্যুট গায়ে মোদী
বারাক ওবামার (Barak Obama with Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করার সময় পরবেন। তাই তৈরি হল ১০ লক্ষ টাকার পোশাক। সবসময় তাঁর পরণে ডিজাইনার পোশাক। কোথায়, কী পোশাক পরবেন সেটাও ছকে দেওয়া। এক পোশাক নাকি দু বার পরেন না। মহাশক্তিমান কিন্তু টেলিপ্রম্পটারে লিখিত ভাষণ ছাড়া বলতে পারেন না। কখনও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না। এই তথ্যগুলোই যথেষ্ট মোদীর প্রজ্ঞা ও মানসিকতা বোঝাতে। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এরকম নজির নেই। 
নরেন্দ্র মোদী
তবে একটা জিনিস দেখবেন, মোদীর ভাবমূর্তি কিন্তু মমতা বা বুদ্ধদেবের মতো করে তৈরির চেষ্টাই হয়নি। মমতা 'দিদি', 'ঘরের মেয়ে'। বুদ্ধদেব 'শিল্পায়নে উদ্যোগী'। কিন্তু মোদী '৫৬ ইঞ্চি'। সাহসী, শক্তিমান, অসমুদ্র হিমাচলের একমাত্র রক্ষাকর্তা।
সুপারম্যান
তিরিশের দশকে দুনিয়াজুড়ে প্রবল আর্থিক মন্দার সময় জন্ম নিয়েছিল কাল্পনিক চরিত্র 'সুপারম্যান' (Superman), যে কোনও সমস্যা মিটিয়ে দেয় নিমেষে। সত্তরের দশকে ভারতে আর্থিক সংকটের সময়ই দিলীপ কুমার-দেব আনন্দ-রাজ কাপুরদের সরিয়ে দিয়ে 'অ্যাংগ্রি ইয়ংম্যান' অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchhan) একচ্ছত্র দাপট। তিনি জীবনের সব সমস্যা একার হাতে সমাধান করে দেন, হোক না তা সেলুলয়েডের পর্দায়।  
দিওয়ার। পরভীন ববি ও অমিতাভ বচ্চন
দুনিয়ার রাজনীতিতে পরিচিত চরিত্র অ্যাডলফ হিটলার (Adolf Hitler) । নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করেছিলেন মাথা খাটিয়ে, পরিকল্পনা করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত জার্মানির একমাত্র রক্ষাকর্তা হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করতে পেরেছিলেন। আজকের ভারতের রাজনীতিতেও পরিকল্পনা করে ভাবমূর্তি তৈরির কাজটা চলছে জোরকদমে। নীতি-আদর্শ-রাজনীতির চেয়েও বেশি জরুরি ভাবমূর্তি। মিথ্যে, এই শব্দটা ক্রমশ গ্রাহ্য বানানোর চেষ্টা চলছে সারা দুনিয়ায়। পোস্ট ট্রুথ (Post Truth) বলে একটি শব্দই চলে এসেছে। হিটলারের প্রচারের কৌশল, একটি মিথ্যাকে বারবার বললে তা সত্য মনে হতে পারে। সেটাকেই সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হচ্ছে।
অ্যাডলফ হিটলার
পেশাদার ভোটকুশলীদের অন্যতম কাজ ভাবমূর্তি তৈরি করা। নেতা অতিমানব। নেতা সর্বশক্তিমান। নেতা পারেন না এমন কিছু নেই। দেবদেবী, নায়ক-নায়িকাদের (বিশেষত নায়ক) এরকম ভাবমূর্তি আছে। এখন রাজনীতির নেতানেত্রীদেরও সেরকম ভাবমূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। এটাও এক রকম রাজনীতি। নীতিহীনতার রাজনীতি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
Keya Ghosh বলেছেন…
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

Top Post Ad