link text

Breaking Posts

6/trending/recent

Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

বাঙালির বাচ্চার রক্তের তেজ #BD-padma-bridge

এক রূপকথার গল্প বলতেই এই লেখা। বলা ভাল, মনে সেই রূপকথা যে ছাপ ফেলেছে তারই প্রকাশ ঘটানোর ইচ্ছে

গুমোট, দমবন্ধ একটা পরিবেশে হঠাৎ এক ঝলক ঠাণ্ডা হাওয়ার স্পর্শ...

'...দূরে কোথাও দু এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে।'

জীবনও তো তেমনই। মন খারাপ করা, মন ভার করা নানা ঘটনা সরিয়ে রেখে হঠাৎ কখনও ইচ্ছেরা ডানা মেলে।...

...অনিচ্ছাতেও লাফায় খালি তিড়িংবিড়িং।

২৫ জুন।

বিশ্বজয়ী ভারত
১৯৮৩ সালের ২৫ জুন। কপিলদেবের ভারত চমকে দিয়েছিল দুনিয়াকে। ক্রিকেট বিশ্বজয়ী। 
আমার পাড়ায় তখন একটা মাত্র বাড়িতে টিভি ছিল। গুঁতোগুঁতি করে সেখানেই খেলা দেখা। এবং কপিলরা বিশ্বকাপ জেতার পর জুনে ঠাঠাপোড়া রোদেও আমরা ক্রিকেট খেলতে নেমে পরেছিলাম।  
জরুরি অবস্থা
তার ৮ বছর আগে ২৫ জুন। সারা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে জারি হয়েছিল অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা। 
বরুণ সেনগুপ্ত, জ্যোতির্ময় দত্ত ও গৌরকিশোর ঘোষ
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন এই রাজ্যের তিন সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত, জ্যোতির্ময় দত্ত ও গৌরকিশোর ঘোষ এ এবছর গৌরকিশোর ঘোষের জন্ম শতবর্ষ। আজকের মিডিয়া দেখলে মনে হয় না, তা নিয়ে কারও বিশেষ ভ্রুক্ষেপ আছে। কম বয়সীরা বাংলা সাংবাদিকতার অন্যতম এই প্রতিষ্ঠার নাম জানেন কি না, তা নিয়েও প্রায়ই সংশয় হয়।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গৌরকিশোর ঘোষ
অনেক রাজনৈতিক দল বলে, দেশে এখন অঘোষিত সুপার ইমারজেন্সি চলছে। জরুরি অবস্থা জারির দিনে তাঁরা থাকলেন লক্ষ্মী ছেলে হয়ে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরাই বরং জরুরি অবস্থার নিয়ে কিছু কথা বললেন। 
অমরনাথে ধ্যানস্থ প্রধানমন্ত্রী
ঠিক আগের দিন, মানে ২৪ জুন, সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট দাঙ্গা সংক্রান্ত সর্বশেষ মামলাতেও ক্লিন চিট দিয়েছে গুজরাটের সে সময়ের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। 

ঠিক তার পরের দিন, মানে ২৫ জুন, মানে ৪৭ বছর আগে যেদিন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, সেদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, "শিব যেমন কণ্ঠে বিষ ধারণ করেছিলেন, ঠিক তেমনই নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। কিন্তু একটি কথাও বলেননি ৷ তিনি অনেক বড় মনের বলেই পেরেছেন। সুপ্রিম কোর্ট সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে৷ সোনার মতোই সত্যও উজ্জ্বল৷" 

গুজরাটের তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি বললেন, ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ছিলেন সমাজকর্মী তিস্তা শীতলওয়াড় সহ আরও কয়েকজন। 

আর বি শ্রীকুমার, সঞ্জীব ভাট এবং তিস্তা শীতলওয়াড়
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে তিস্তাকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন গুজরাট পুলিশের প্রাক্তন ডিজি আর বি শ্রীকুমারকে। অপরাধ দমন শাখার এক অফিসারের করা এফআইআরে নাম আছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়ে জেলে থাকা আইপিএস সঞ্জীব ভাটেরও। দাঙ্গার সময় পুলিশরে শীর্ষ পদে থাকা সঞ্জীব আবার কাশ্মীরি পণ্ডিতও। ১৯ বছর গলায় বিষ ধারণের পর একটু আধটু ওগড়ানোর ইচ্ছে হতেই পারে। তাই না? 

কতো কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে। গোধরায় ট্রেনে জ্বলন্ত পুড়ে মৃত্যু করসেবকদের। তারপর দাঙ্গা। হাজারের বেশি মৃত্যু। ২/৩ মুসলিম, ১/৩ হিন্দু। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক প্রাক্তন সংসদ এহসান জাফরিও।

গোধরায় ভস্মীভূত ট্রেনের কামরায় নরেন্দ্র মোদী
নিহত প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী জাকিয়া জাফরি।
অটলবিহারী বাজপেয়ী তখন প্রধামন্ত্রী। মোদীকে রাজধর্ম পালনের কথা শোনালেন। মোদীকে নাকি বরখাস্ত করতেও চেয়েছিলেন। আদবানি আটকান। বাজপেয়ী নিজেই নাকি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। শেষমেষ দেননি। 

মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কট্টর আরএসএস কর্মী হারিন পান্ডিয়া খুন হয়ে গেলেন। গাড়িতে মৃতদেহ পড়ে থাকল ঘণ্টা দুই। 

এনকাউন্টারের সোহরাবুদ্দিন শেখের মৃত্যু। অমিত শাহ গ্রেফতার।

তখন থেকে পরের ১২ বছর মোদীর কাজের সার্টিফিকেট দিয়ে যাওয়া ভদ্রলোক এবার মোদী বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী!

দাঙ্গার পর বিধানসভা ভোটে মোদীর বিপুল জয়। যিনি ফুল পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি এখন মোদী বিরোধীদের এককাট্টা করার মূল পান্ডা!

গুজরাত দাঙ্গার দুই মুখ অশোক পারমার আর কুতুবউদ্দিন আনসারি অতীতকে পেছনে ফেলে বন্ধু হয়ে গেলেন।

অশোক পারমার। ২০০২
কুতুবুদ্দিন আনসারি। ২০০২
অশোক ও কুতুব। এখন
কপিলদের বিশ্বজয় একটা রূপকথার গল্পের মত। অশোক-কুতুবের বন্ধুত্বও আরেক রূপকথা।

এবছর ২৫ জুন লেখা হল আরও একটা রূপকথার গল্প। 

পদ্মা সেতু উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ থেকে। নোবেল জয়ী এক বাংলাদেশী দুর্নীতির অভিযোগ করায় প্রকল্প থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, কারও টাকা লাগবে না, সরকার নিজের খরচেই এই সেতু বানাবে।

বাংলাদেশ একটি নিম্ন-মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। সে একার জোরে এতবড় কাণ্ড করতে পারবে? সত্যি বলতে দুনিয়া বিশ্বাস করেনি। চিন ঝোল নিজের কোলে টানার চেষ্টা করতেই বাংলাদেশ সমঝে দেয়। প্রবল প্রতিপত্তিশালী চিনের ভয়ে গুটিয়ে থাকেনি।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
লর্ডসে মহারাজ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন। হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠল একটা ছবি, লর্ডসের ব্যালকনিতে হিম্মতের জার্সি ওড়াচ্ছেন এক বাঙালি সৌরভ গাঙ্গুলি।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জেদের, আত্মসম্মানের প্রতীক। একটা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে একটা জাতি এ ভাবে কোথাও মেতে উঠেছে বলে জানা নেই। আসলে এটা ঠিক সেতু নয়। আমরাও কিছু করতে পারি---এই গণউন্মাদনা তারই বিজ্ঞাপন। 

ও পারেই একসময় আমার পরিবারের বসত ছিল। ওপারে কখনও যাইনি। কিন্তু ওপার টানে চুম্বকের মতো। আমার কাকু কৃষিবিজ্ঞানী। আন্তর্জাতিক কোনও প্রজেক্টের কাজে বহু বছর বাংলাদেশে থেকেছে। সে সব কথা বলার সময় কাকুকে কেমন আশ্চর্য উজ্জ্বল লাগে। ওপার আমার দেশ না। তবে ওপারের বাঙালির সঙ্গে নাড়ির যোগ আছে। তাই ওপারের জেদে, সাহসে অর্জিত সাফল্য এপারের এক বাঙালিকেও উজ্জীবিত করে। যারা হিন্দু-মুসলিমে নিজেদের ভাগ হতে দিইনি, তেমন এক বাঙালি হিসেবে এ যেন আমারও জয়। 

২৬ জুন যান চলাচল শুরু হল পদ্মা সেতুতে 
জানেন আমরাও এক সময় পারতাম। 'দেব না'-র সঙ্গে 'করেই ছাড়ব'-র লড়াই করতাম।

তখন শিল্প গড়তে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি লাগত। 

হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস।  প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল মোরারজি দেশাই সরকার। ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় ফিরে আটকে রাখলেন লাইসেন্স। অথচ গুজরাটে রিলায়েন্সকে পেট্রোকেম করার অনুমতি দেওয়া হল।

হলদিয়া পেট্রোকেমের শিলান্যাসে রাজীব গান্ধী। পাশে জ্যোতি বসু
পেট্রোকেমের দাবিতে কলকাতা থেকে হলদিয়া পদযাত্রা। ১১ বছর আটকে রাখার পর ভোটের মুখে রাজীব গান্ধী এসে শিলান্যাস করলেন। কিন্তু কারখানা গড়তে টাকা দেবে বলেও পিছিয়ে যায় কেন্দ্র। নীতিগত অবস্থান থেকে সরে সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে পেট্রোকেম গড়ার কাজে এগোলো রাজ্য।

হলদিয়া পেট্রোকেম
একই ঘটনা সল্ট লেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্সের ক্ষেত্রেও (আজ যেখানে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র)। প্রায় দেড় দশক আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। কম্পিউটারের বিরোধিতা করে বামফ্রন্ট রাজ্যকে গোল্লায় পাঠিয়েছে বলে হইচই করেন যাঁরা, বেশির ভাগই বলেন না জেনেশুনে।

তখন কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন মমতা ব্যানার্জি। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। 

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন উদ্বোধন হল ১৯৮৪ সালে। কিন্তু অনেক কাজ বাকি। এক টাকাও দিল না কেন্দ্র। রাজ্যের মানুষই দায়িত্ব নিলেন। 

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন
তখন লোডশেডিং হলেই বলা হত জ্যোতিবাবু চলে গেল। ভয়ঙ্কর বিদ্যুৎ সংকট ছিল আমাদের রাজ্যে। হিসেব বলছিল, অষ্টম পরিকল্পনার শেষে বিদ্যুৎ ঘাটতি দাঁড়াবে ৭৪৩ মেগাওয়াট। ৮৪০ মেগাওয়াটের  বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। বেঁকে বসে কেন্দ্র। টাকা দিতে পারবে না। জোগাড় হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য। কেন্দ্র বলল, সোভিয়েত শর্ত দিয়েছে তারা কোনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করবে না। সেক্ষেত্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের মাত্র ৩০% পাবে রাজ্য। রাজ্যের বিদ্যুতের চাহিদা তো পূরণ হবে না। সোভিয়েত কনসাল জেনারেলের সঙ্গে কথা বলার পরে জ্যোতি বসু জানালেন, মোটেই সেরকম কোনও প্রস্তাব দেয়নি সোভিয়েত। টানাপোড়েনে সেই সাহায্যও গেল ফস্কে। কেন্দ্রও টাকা দেবে না। জ্যোতি বসু ঘোষণা করে দিলেন, রাজ্য নিজের কোমরের জোরেই গড়বে। 

বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
বক্রেশ্বর গড়তে লাগবে ১০০০ কোটি টাকার মতো। তখন রাজ্য বাজেটে মোট খরচ হত ১২০০ কোটি টাকার মতো। সাধ আর সাধ্যের ফারাকটা স্পষ্ট। 

বিভিন্ন সংগঠন টাকা তোলা শুরু করল। রক্ত বিক্রি করে বক্রেশ্বরের জন্য টাকা তোলার ডাক দিল বাম ছাত্র যুবরা। কোনও সন্দেহ নেই, প্রতীকী আন্দোলন এটা। 

আনন্দবাজার ব্যঙ্গ করে সম্পাদকীয় লিখল, বাঙালির বাচ্চার রক্তের তেজ। বোঝাতে চাইল, রক্ত বিক্রি করে কত উঠবে? তা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়? লেখা হল, রাখার ব্যবস্থা নেই তাই সংগৃহীত রক্ত ড্রেনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। 

কংগ্রেসের এমপি, মন্ত্রী কেউ রাজ্যের পাশে নেই। কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাতে যাওয়ার জন্য জ্যোতি বসু রাজ্যের সব এমপিদের মিটিং ডাকলেন। মিটিং থেকে বেরিয়ে গেলেন মমতা আর অজিত পাঁজা। প্রিয়রঞ্জনরা থেকেও কোনও কাজে লাগেননি। সিপিএম ছাড়া বাকি বাম শরিকরাও ছিল হাত গুটিয়ে। 

শেষ পর্যন্ত কিন্তু বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে। শঙ্কর সেনের মন্ত্রী থাকার সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রাজ্য।

হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস হয়েছে।

সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স (এখন তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র) হয়েছে। 

যুবভারতী আঅন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম হয়েছে। 

বাঙালির বাচ্চা সেদিন রক্তের তেজ দেখিয়েছে। 

সুভাষ চক্রবর্তী ও জ্যোতি বসু
পশ্চিমবঙ্গে সেটাই বোধহয় ইতিবাচক রাজনীতির শেষ নিদর্শন, মানুষের মনে প্লাবন তুলে উন্নয়নের কাজে সামাজিক উদ্যোগ। 

হার না মানা মনোভাব নিয়ে লড়ে যাওয়া। লড়তে লড়তে হারা ম্যাচ জিতে আসা। ১৯৮৩ সালের লর্ডসে যেমন কাণ্ড করেছিলেন কপিলরা। 

তারপর থেকে ক্রমাগত আমরা ডুবে গেছি ক্ষমতা ধরে রাখা আর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার নেতিবাচক আন্দোলনে। এখন আমাদের উৎসাহ অনুব্রতর চড়াম চড়াম বা গুড় বাতাসা, শোভন-বৈশাখী, দিলীপ ঘোষ, সেলিম-আব্বাসে। 

আসলে ইতিবাচক কিছু করতে গেলে সাহস লাগে। নৈতিক সততা লাগে। জেদ লাগে। মানুষের প্রতি সীমাহীন ভালবাসা লাগে। 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান
বাঙালির বাচ্চা রক্তের তেজ দেখাল পদ্মা সেতু বানিয়ে। 

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির বিপুল বদল ঘটিয়ে দেবে। শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারত সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সব দেশ সুফল পাবে। কলকাতার অনেক কাছাকাছি চলে আসবে ঢাকা। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলো বাড়তি সুবিধা পাবে। ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে পদ্মা সেতু। ট্রেনে সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে ইউরোপ।

পদ্মা সেতুর সাফল্য হয়তো আগামী বছরের ভোটে শেখ হাসিনাকে সুবিধা দেবে। হয়তো সেজন্যই বিএনপি প্রচার শুরু করেছিল, সেতুর শিলান্যাস করেছিলেন খালেদা জিয়া। হয়তো সে জন্যই ভাষণে হাসিনা বললেন, খালেদা জিয়া দেখে যান পদ্মা সেতু হয়েছে।

এসব অর্থনীতি আর রাজনীতির অঙ্কে পদ্মা সেতুকে বুঝতে চাই না। 

আমাজনের পরেই সবচেয়ে খরস্রোতা পদ্মাকে বাগে এনে সেতু।পদ্মা সেতু দেখাল, বাঙালি মরে নাই। দেখাল, বাঙালির বাচ্চার রক্তের তেজ কমেনি এতটুকু। 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাসিনা

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।’

৪১ বছর পর তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা বললেন, ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Top Post Ad